ডলার সংকট এখনো কাটেনি। আমদানির চাহিদা মেটাতে নিয়মিত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রিজার্ভ কমে
দেশে ডলারের বাজার ফের অস্থির হয়ে উঠেছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোতে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত প্রতিনিয়ত কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতির ভিত্তিতে এবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১৮ কোটি ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে রিজার্ভ কমছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রিজার্ভ কমে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কারণকে দায়ী করছে সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ এবং নীতি বিশ্লেষকরা।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক সপ্তাহ কিছুটা বাড়ার পর আবার কমেছে। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২৯ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ কমেছে ২৬ কোটি ডলার।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। পুরো অর্থটাই দেশের রিজার্ভ খাত থেকে খরচ করা হয়েছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অব্যাহত গতিতে কমছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রস হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ১০ কোটি মার্কিন ডলার। নিট হিসাবে কমেছে ৪ কোটি ডলার।
ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। ২১ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ১৯০ কোটি ডলার কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের (তিন হাজার কোটি ডলার) নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।